বিশেষ প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জ জেলা সিরাজদিখান থানা বরইহাজী সিখারপুর গ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ছেলে নিখিল গোমেজ মুসলিম মেয়েকে ভালোবেসে বিবাহ করেন। বিবাহের পর হইতে ইসলামী আন্দোলন নেতা এ কে এম আতিকুর রহমান ও তার অনুসারীদের কর্তৃক হামলা ও নির্যাতনে স্বীকার হন। উল্লেখ্য যে, রাত্রি আক্তার ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে বিগত ২০১৭ সালে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে। এতে ক্ষিপ্ত হইয়া ইসলামী আন্দোলনের নেতারা নিখিল গোমেজ ও তাহার স্ত্রীকে সমাজ চ্যুত করেন এবং নিখিল গোমেজ এর পরিবারকে এক ঘরোয়া করে। অন্যদিকে রাত্রি আক্তার এর পরিবারও এই বিবাহ মেনে নেয়নি। ইহাতে সমাজে ধর্মীয় শৃংখলা নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দেয়। ভয়ভীতির কারণে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য নিখিল গোমেজ দেশ ত্যাগ করিয়া কানাডায় পাড়ি জমান। ইসলামী আন্দোলন ও ধর্মীয় নেতাদের ভয়ে সমাজচ্যুত হয়ে রাত্রি গোমেজ তার সন্তান সহ গোপন জীবন যাপন শুরু করেন। ইসলামী আন্দোলনের নেতা এ.কে.এম আতিকুর রহমানকে জিজ্ঞাস করিলে তিনি বলেন, নিখিল গোমেজ মুসলিম মেয়েকে বিবাহ করিয়া খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করা ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হইয়াছে এবং তার বিরুদ্দে আমি একটি মামলা করিয়াছি। উক্ত বিষয়ে নিখিল গোমেজ এর মাকে জিজ্ঞাস করিলে তিনিও বলেন আমার ছেলে মুসলিম মেয়েকে বিবাহের পর হইতে চরমভাবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে র্নিযাতন ও বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয় এবং তাকে ব্যবসা ও চাকুরী হারাইতে হয় ও সমাজচ্যুত করা হয়। ০৫শে আগস্ট ২০২৪ সালে সৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক পতন পর মুন্সিগঞ্জ জেলার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক নিখিল গোমেজ এর বিরুদ্ধে থানার মামলা দায়ের করে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। কানাডায় চলে যাওয়ার পরও ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও সদস্যদের কর্তৃক তাহার মা, স্ত্রী ও সন্তানকে অপমানিত হইতে হয়। সংবাদ সংগ্রহে আরও জানা যায় নিখিল গোমেজের স্ত্রী রাত্রী গোমেজ কে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা খ্রীস্টান ধর্ম ত্যাগ করে আবার ইসলাম ধর্মে চলে আসতে এবং নিখিল গোমেজকে তালাক দিতে নিখিল গোমেজের মাতাকে চাপ দিয়ে আসছে। সারা বাংলাদেশের মত নিখিল গোমেজ ও তার পরিবার বৈসাম্য ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ায় নির্যাতিত হেচ্ছে বলে মানবাধীকার ও সমাজকর্মীরা মনে করছেন।