মহিউদ্দিন আহমেদ রিপন লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ লাখাইয়ে চলতি রোপা আমন ধান এর মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টি পাত ও জমিতে পোকামাকড় এর আক্রমণ তেমনটা না থাকায় এ মৌসুমে এযাবতকালের সেরা ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষকেরা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় চলতিবৎসর রোপা আমন মৌসুমে আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৯ শত হেক্টর জমি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আবাদ লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে গেছে এবং আবাদ হয়েছে ৫ হাজার হেক্টর এর অধিক জমি।এর মধ্যে ব্রিধান১০৩,৮৭,৯০,৭৫,৪৯,৩৯,২২,২৩,, বিনা ধান-৭,১৭ সহ বিভিন্ন ধরনের ধান আবদ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরোও জানা যায় ফলন আশানুরূপ হওয়ায় এবছর লাখাইয়ে ২০ হাজার ৯৪৩ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হতে পারে এর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৭৫ কোটি টাকার মতো হতে পারে।
এদিকে এর মধ্যে উপজেলার করাব,মোড়াকরি, মুড়িয়াউক, বামৈ ইউনিয়ন এর বিভিন্ন মাঠে আমনধান কাটা শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় এরই মধ্যে উপজেলার শতকরা ১০-১৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।চলতি সপ্তাহে উপজেলায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়ে যাবে।
ধান কাটাকে সামনে রেখে কৃষকদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। ধানকাটা, প্রক্রিয়াজাতকরন ও শুকিয়ে গোলায় ধান উঠানোর কাজে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন কৃষান- কৃষাণীরা।
বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সনাতনী পদ্ধতিতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের তেমন প্রয়োজন পড়েনা। তাই এ ক্ষেত্রে কৃষকদের কিছুটা স্বস্তিতে, তাদের শ্রমিক সংকট লাঘব হয়েছে।
আরোও জানা যায় এ মৌসুমে লাখাইয়ে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৯ হাজার ১৯৫ মেট্রিক টন ধান উদ্বৃত্ত হবে।
সরজমিন উপজেলার করাব, সিংহগ্রাম, মুড়িয়াউক, বামৈ,মোড়াকরি হাওর ঘুরে দেখা যায় কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার এর সাহায্যে জমির ধান কর্তন চলছে এবং কৃষকেরা এ ধান বস্তাবন্দী করে ছোটবড় যানবাহনের মাধ্যমে নিজেদের বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছে আবার কেউবা জমির পার্শবর্তী গোপাটে খলায় নিয়ে ধান রোদে শুকাচ্ছ।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন লাখাইয়ে চলতি মৌসুমে এযাবতকালের মধ্যে সেরা ফলন হয়েছে রোপা আমনে।ইতিমধ্যে ১০-১৫ শতাংশ জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি যাতে জমির ধান ৮০ শতাংশ পেকে গেলেই তা দ্রুত কর্তন করে। এতে যেকোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করা যাবে।এছাড়া যে জমিতে বোরোধান আবাদ করা যাবেনা সে জমিতে সরিষা আবাদ করতে। কোন জমি যেন অনাবাদি রেখে দেওয়া না হয়।