ডেস্ক রিপোর্ট
শরৎ পেরিয়ে নামছে হেমন্ত, আসছে কার্তিক মাস। প্রকৃতি যেন আগ থেকে শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে। শীতের হালকা ছোঁয়া অনুভব করতে পারছে নগরবাসী। সকালে কুয়াশা আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে রাজধানী। মাঝরাতে মনে হয় এই বুঝি শীত এলো। টানা কয়েক দিনের থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টির পর বেশ সহনীয় হয়ে উঠেছিল তাপমাত্রা। দিনে গরম আর শেষরাতে অনুভূত হচ্ছিল হালকা শীত।
তবে আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালটা ছিল নগরবাসীর জন্য কিছুটা ভিন্ন রকম। শরতের শেষ দিকে এসে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে ।
মাঝরাত থেকেই শীত অনুভূত হয়। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শীতের আবহ কেটে যায় বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। বর্তমান আবহাওয়ায় রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে নগরবাসী। দিন তাপমাত্রা বেড়ে থাকলেও সন্ধ্যা থেকে নেমে আসে কুয়াশা।
যদিও বাংলা পঞ্জিকার হিসেবে হেমন্তের পর অগ্রহায়ণ পেরিয়ে তবেই আসবে শীতকাল। কিন্তু প্রকৃতির খেয়ালে হেমন্তের শুরুতেই শীতের আগাম আমেজ অনুভূত হচ্ছে। এতে বোঝায় যাচ্ছে, কুয়াশা পড়া শুরু না হলেও তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে বৃষ্টি ও শীতল হাওয়া একটা শীত শীত আমেজ ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিরাজ করছে। তবে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান যতই কমবে শীত শীত ভাব তত বেশি অনুভূত হবে। তখন দিনের ও রাতের তাপমাত্রা দুটোই কমে আসবে। হেমন্তের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বৃষ্টি—এককথায় শীতের আগমনী বার্তা।
এদিকে রাজধানীর পাশাপাশি, হিমালয়কন্যা খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আগাম শীত অনুভূত হচ্ছে। অন্যান্য জেলার তুলনায় এ জেলা শীতপ্রবণ হওয়ায় এরইমধ্যে বইতে শুরু করেছে পাহাড়ি ঠান্ডা বাতাস। দিনের বেলা আবহাওয়া গরম থাকলেও গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পরদিন ভোর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে চারপাশ।
পঞ্চগড়ে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সন্ধ্যার পর শিশির বিন্দু পড়ার কারণে শেষ রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলেও এ এলাকায় ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে শীতের তীব্রতা হ্রাস পায়।