ডেস্ক রিপোর্ট
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। রোববার (১৭ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১৬ মিনিটে দেশটিতে এ কম্পন অনুভূত হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপানের কোশিমা অঞ্চল। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২।
কেন্দ্রস্থলে কম্পনটির গভীরতা ছিল ৭০ দশমিক ৬ কিলোমিটার (৪৩ দশমিক ৮ মাইল)। তবে স্বস্তির বিষয় হলো এখনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে ‘আফটার শক’ নিয়ে আতঙ্কে সময় পার করছেন কোশিমার বাসিন্দারা।
প্রাথমিক ভূমিকম্পের তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটি সম্ভবত কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি অনেক লোক তীব্রভাবে অনুভব করেছে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে জাপানের কর্তৃপক্ষ। আফটার শকে সুনামির আশঙ্কা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি রেখেছে তারা।
প্রসঙ্গত, ১১ নভেম্বর দুবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপে উত্তর আমেরিকার দেশ কিউবা। দেশটিতে এক ঘণ্টার মধ্যে দুবার ভূমিকম্প হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, প্রথম ভূমিকম্পের চেয়ে দ্বিতীয়টি বেশি শক্তিশালী ছিল। রিখটার স্কেলে এটির তীব্রতা ছিল ছয় দশমিক আট। এ ছাড়া এটির উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণ গ্রানমা প্রদেশের বার্তোলোম মাসোর উপকূল থেকে প্রায় ২৫ মাইল দূরে ১৪ দশমিক ৬ মাইল গভীরে।
এর এক ঘণ্টা আগে দেশটিতে পাঁচ দশমিক ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল বার্টোলোম মাসো থেকে প্রায় ২২ মাইল দূরে সমুদ্রের তলদেশে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্রানমা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের প্রভাবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে এর প্রভাবে ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রজুড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
প্রথম ভূমিকম্পের টেলিফোনের মাধ্যমে এএফপিকে আন্দ্রেস পেরেজ নামের এক বাসিন্দা বলেন, ভূমিকম্পের সময় লোকজন দ্রুত রাস্তায় নেমে এসেছে। এর প্রভাবে ভূমি ভয়াবহভাবে কেঁপে উঠেছে। বাস্তবেই এটি বেশ ভয়াবহ ছিল। আমার স্ত্রী তখন অনেক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।