মোঃ আজিম হোসেন( পিরোজপুর)
ডাবকে বলা হয় স্বর্গীয় ফল।এ ফলে বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান থাকায় এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাগেরহাট ও পিরোজপুর জেলার ডাবের পানি তুলনামূলক বেশি মিষ্টি হওয়ায় এর চাহিদা সমস্ত দেশজুড়ে। দেশের এক তৃতীয়াংশ ডাবের ফলন হয় অত্র অঞ্চলে।বসত বাড়ির আসে পাশেসহ বিভিন্ন উচ্চ স্থানে নারকেল গাছের চারা লাগিয়ে উৎপাদন করা হয় ডাব।জানা গেছে দেশের সবচেয়ে বেশি ডাবের ফলন হয় লক্ষ্মীপুর জেলায়। এ জেলায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে নারকেলের বাগান রয়েছে। দেশজুড়ে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
মোড়েলগঞ্জের এক পাইকারী ডাব ব্যবসায়ী মোঃকামরুল ইসলাম নাহিদ জানান,আমি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় একটা ডাব ক্রয় করি।
ঢাকাসহ বিভিন্ন ডাবের আরোতে পৌঁছাতে প্রায় ১০ টাকা যাতায়াত খরচ হয়।সে খান থকে খুচরা ব্যাবসায়ীরা তাদের চাহিদানুয়ায়ী ক্রয় করে।ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারোনে ডাবের উৎপাদন কম, তবে চাহিদা ব্যাপক। স্রষ্টার দেয়া ডাবের পানিতে যে সব উপকারিতা আছে তা হলোঃ
১,ডাবের পানিতে আছে ম্যাগনেশিয়াম,পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি যা ব্লাট প্রেসারকে নিয়ন্ত্রন করে।
২,হাড়কে মজবুত রাখার জন্য ক্যালশিয়া দরকার যা ডাবের পানিতে আছে।
৩,ডাবের পানিতে আছে প্রাকৃতি শর্করা ও মিনারেল যা শরীরকে শীতল ও আদ্র রাখে।এজন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় স্যালাইনের বিকল্প ডাবের পানি দেয়া হতো।
৪, ডাবের পানি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৫,ডাবের পানি অ্যাসিডিটি কমিয়ে হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে।
৬,ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি শরীরে পানির ঘাটতি পুরনে ডাবের পানি অধিক কার্যকরী।
৭,ত্বকের ইনফেকশন সহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে ডাবের পানি ভূমিকা ব্যাপক।