ডেস্ক রিপোর্ট
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন শেখবাঁধা-গাজকাটি সড়কটির প্রায় ৫০ ফুট বন্যার তোড়ে ভেঙে গেছে। এতে সড়কটিতে চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পাকা সড়ক ভাঙার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো সংস্কার করা হয়নি। চলছে না বড় কোনো যানবাহন। তাই বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন ১০ হাজার মানুষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেবীগঞ্জ-ভাউলাগঞ্জ সড়কের শেখবাঁধা মোড় থেকে গাজকাটি বাজার যাওয়ার পথে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটির অবস্থান। ভাঙা সড়কের নিচের অংশে তিস্তার শাখা নদী প্রবহমান। ফলে ভাঙা অংশটি থেকে নিচে প্রায় ২০ ফুট গর্ত তৈরি হয়েছে। একটি বাঁশের খুঁটিতে লাল কাপড় ঝুলিয়ে রেখে পথচারীদের সতর্ক করা হয়েছে।
জানা যায়, গাজকাটি ও শেখবাঁধা এলাকার ৬টি গ্রামের মানুষের চলাচল ও গাজকাটির লোকজনের উপজেলা সদর কিংবা পঞ্চগড় জেলা শহরে যাওয়ার অন্যতম প্রধান সড়ক এটি। এ ছাড়া টেপ্রীগঞ্জ, শেখবাঁধা, রামগঞ্জ বিলাসীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পার্শ্ববর্তী নীলফামারী জেলার আমবাড়ী, গোমনাতি মির্জাগঞ্জ বাজার যাতায়াতের জন্য এ পথ ব্যবহার করে থাকেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের কাছে তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতু রয়েছে, সেতুর ঠিক ১০০ গজ পশ্চিমে সড়কটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ। এই সড়কটি ৫০০ মিটার পশ্চিমে গাজকাটি উচ্চ বিদ্যালয় ও গাজকাটি বাজার।
এ বিষয়ে টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সরকার বলেন, ‘সড়কটিতে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি, তাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তা মেরামত করা সম্ভব ছিল না। উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। সড়কটি দ্রুত মেরামতের বিষয়ে তিনি আশ্বস্ত করছেন।’
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহারিয়ার ইসলাম শাকিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য এরই মধ্যে আমরা প্রকল্প প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করছি, আর অল্প সময়ের মধ্যে মেরামতের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।