ডেস্ক রিপোর্ট
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বইতে শুরু করেছে হিমেল হওয়া। এখানে ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের পরশ। কয়েকদিন ধরে নিম্নমাত্রার তাপমাত্রা রেকর্ড বলে দিচ্ছে উত্তরের জেলায় ঘনিয়ে আসছে শীত।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কার্যালয়।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরের সূর্য উঠলেও হালকা কুয়াশা ঝরা প্রকৃতি। সবুজ ঘাসের ডগায় টলমল করছে ভোরের শুভ্র শিশির। বৃষ্টির ফোটার মতো ঝরছে শিশির কণা।
স্থানীয়রা জানান, ধীরে ধীরে বাড়ছে উত্তরে জেলা পঞ্চগড়ের শীতের মাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হচ্ছে। মাঝরাতের পর ভোর পর্যন্ত গায়ে কাঁথা নিতে হচ্ছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে। তবে অক্টোবর থেকেই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকে কেন্দ্র করে বাজারগুলোতে ভাপা, চিতই ও পাকোয়ান পিঠা উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে এখনও সেভাবে শীত না পড়ায় দিনে গরম ও রাতে হালকা শীতের কারণে আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ কালবেলাকে বলেন, আগের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। সোমবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।