ডেস্ক রিপোর্ট
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা চলছে। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন অনেকেই। এর মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন ইসলামি আলোচক আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট দিয়ে ছাত্রলীগ নিয়ে মন্তব্য করেন আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বিষয়টি অপমান, আক্ষেপ বা প্রতিহিংসার জায়গা থেকে বিবেচনা না করে রহমানের পক্ষ থেকে তওবা ও পরিশুদ্ধির বিরাট সুযোগ হিসেবে দেখুন! যে কোনো ওয়াসিলাতেই হউক আল্লাহ তায়ালা যদি কাউকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক জালেমের সহযোগী হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দেন, নিঃসন্দেহে তা রহমানের দয়ারই একটি অপার অংশ। তাই বুদ্ধিমান ব্যক্তির উচিত রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া।’
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করিয়া বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুমকেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।
১৫ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করে শতশত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করেছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করেছে। যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে জড়িত।
সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯’-এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং ওই আইনের তপশিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।