ডেস্ক রিপোর্ট
টাইফুন ইয়াগির আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ভিয়েতনাম। এছাড়াও, টাইফুনের প্রভাবে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ৫৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামে টাইফুন ইয়াগির কারণে ভারী বৃষ্টি ও সৃষ্ট ভূমিধসে এখনো পর্যন্ত অন্তত ৫৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় হোয়াং লিয়েন সন পাহাড়ে ভূমিধসে নবজাতক ও এক বছরের শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে পাহাড়ি কাও ব্যাং প্রদেশে ভূমিধসে ও বন্যার পানিতে একটি যাত্রীবাহী বাস প্লাবিত স্রোতে ভেসে যায়। বাসটিতে ২০ জন যাত্রী ছিল বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেনি দেশটির স্থানীয় এক কর্মকর্তা। তিনি জানান, নদী থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ভিয়েতনাম সরকার জানিয়েছে, টাইফুন ইয়াগির কারণে দেশের বেশ কয়েকটি অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং টেলিযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলের বিভিন্ন অংশে ২০৮ মিমি থেকে ৪৩৩ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবারও বন্যা ও ভূমিধস অব্যাহত থাকতে পারে। তাই পাহাড়ি ও নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সতর্ক থাকতে হবে।
চলতি বছর এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় মনে করা হয় টাইফুন ইয়াগিকে। এটি শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আছড়ে পড়ে। রোববার এটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দুর্বল হতে থাকে। তবে বন্দর শহর হাই ফং-এর বেশ কয়েকটি এলাকায় আধা মিটার (১.৬ ফুট) পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ অঞ্চলে বিদ্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ভিয়েতনাম শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হা লং বে-তে টাইফুন ইয়াগির ফলে সৃষ্ট শক্তিশালী ঝড়ে বাতাস এবং ঢেউয়ের আঘাতে ৩০টি জাহাজ ডুবে গেছে।
টাইফুনটির প্রভাবে দেশটির উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার ৩শ’ ঘরবাড়ি এবং এক লক্ষ ২০ হাজার হেক্টর জমির (২ লাখ ৯৬ হাজার ৫শ’ একর) ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, টাইফুন ইয়াগি ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে আগে দক্ষিণ চীন এবং ফিলিপাইনে আঘাত হানে। সেখানে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল।