ডেস্ক রিপোর্ট
বর্ষাকাল শেষে প্রকৃতিতে এখন শরৎ। আশ্বিনের শেষ, অপেক্ষায় শীতের আগমন। ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হলেও আশ্বিনে সারা দেশে হচ্ছে টানা বৃষ্টি। কখনও ঝিরিঝিরি কখনও মুষলধারে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ডুবে গেছে এবার ময়মনসিংহ অঞ্চল।
শনিবারের সকালেও হয়েছে মুষলধারের বৃষ্টি। সকাল ৬টার দিকে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বজ্রবৃষ্টি পড়ে অঝোরে। সকাল ৮টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে বৃষ্টি। এরপর আবার ঢাকার আকাশে ঝকঝকে রোদের দেখা মিলেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ু চলে যাওয়ার সময়টাতেই দেশজুড়ে এমন বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব বেশি নয়। এর পরও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে। তবে আজ রাজধানীতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামীকাল রোববার থেকে বৃষ্টি কম হবে। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি আবার খানিকটা বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির সঙ্গে ছিল প্রচণ্ড শব্দ করে বজ্রপাত। সাধারণত এ সময় এত বজ্রপাত হয় না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ময়মনসিংহে—২৫ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত যে বৃষ্টি হয়েছে, তা পরিমাণে খুব বেশি নয়। তবে বৃষ্টি দেশজুড়ে হয়েছে মোটামুটি। আজও দেশের কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে গতকালের চেয়ে পরিমাণ কমে আসবে। আগামী মঙ্গলবারের পর থেকে বৃষ্টি আবার খানিকটা বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, আজ রাজধানীতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে যেতে পারে।
এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে, তার কারণ মূলত মৌসুমি বায়ুর প্রভাব। চলে যাওয়ার সময় মৌসুমি বায়ু এভাবেই বৃষ্টি ঝরায়। এ মাসের শেষ পর্যন্ত মৌসুমি বায়ুর প্রভাব থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে। মৌসুমি বায়ুর সঙ্গে অবশ্য পশ্চিমা লঘুচাপেরও একটা প্রভাব রয়েছে।