ডেস্ক রিপোর্ট
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে উপজেলার দুই ইউনিয়নের নদী পাড়ের মানুষ।
বেড়িবাঁধ সংলগ্ন আশাশুনি সদর ইউনিয়নের মানিকখালী ও বুধহাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের প্রায় হাজারখানেক পরিবার রয়েছেন সার্বক্ষণিক আতঙ্কে।
সরেজমিনে ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিন ও রাতে দুইবার জোয়ারের সময় পানি বৃদ্ধি হওয়ার ফলে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার সময় নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে তীব্র ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। অচিরেই স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করা হলে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। নদীর অববাহিকায় গড়ে তোলা সাধারণ মানুষের পাকা ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার আতঙ্ক ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার বলেন, মরিচ্চাপ নদীর এ বাঁধটি ভেঙে গেলে চাপড়া অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, পাশাপাশি আশাশুনি মৌজার চারশ ভূমিহীন পরিবার প্লাবিত হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়বে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা তৎপর না হলে নদীভাঙনে চরের ভূমিহীন পল্লীসহ উপজেলা সদরের নকশা বদলে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। রিং বাঁধ দেওয়ার চেষ্টাও করেছি, কিন্তু খরস্রোতের কারণে সেটা টেকেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরাকে বলেছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, কিন্তু ছুটিতে থাকার কারণে স্পটে যেতে পারিনি। দ্রুতই স্পটে গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।