অনলাইন ডেস্কঃ প্রচণ্ড গরমের কারণে গত বছর ইউরোপে ৪৭,০০০ এর বেশি মানুষ মারা গেছে। বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ এই তথ্য প্রকাশ করেছে। গবেষকরা দেখেছেন যে, ইউরোপের দক্ষিণাংশে ২০২৩ সালে মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ ছিল-এটি ছিল সবচেয়ে উষ্ণ বছর।
গ্রীসে প্রতি মিলিয়ন বাসিন্দার মধ্যে তাপের কারণে আনুমানিক ৩৯৩ জন মারা গেছেন। তারপরে বুলগেরিয়া ২২৯ জন, ইতালিতে ২০৯ জন এবং স্পেনে ১৭৫ জন মারা গেছেন। তুলনায় জার্মানির সংখ্যাটা কম। প্রতি মিলিয়ন বাসিন্দার মধ্যে আনুমানিক ৭৬ জন। বেশিরভাগ দেশে পুরুষদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে তাপের কারণে নারীদের মৃত্যুর হার বেশি। বয়স্ক ব্যক্তিদেরও জীবনের ঝুঁকি বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে এই স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলি বাড়তে চলেছে। দেখা গেছে যে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি, প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা, উন্নত যোগাযোগ এবং পেশাগত স্বাস্থ্যের অগ্রগতির মতো অভিযোজনগুলি তাপে মৃত্যুর হার কমিয়েছে।
গবেষণা অনুসারে, এই অভিযোজন ছাড়া মৃত্যুর সংখ্যা ৮০% বেশি হত।
গবেষণার প্রধান লেখক এলিসা গ্যালো বলেছেন, ‘গবেষণার দেখা গেছে, বর্তমানে তীব্র তাপমাত্রার সঙ্গে সমাজও বদলে যাচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক কালে গরমের কারণে অসুস্থতা ও মৃত্যুহার, বিশেষ করে বষস্কদের অনেকটাই কমেছে।’
ইউরোপের ৩৫ দেশে তাপমাত্রা ও মত্যুহার রেকর্ড করেছে গবেষকরা। তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, গত বছর গরমে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ হাজার ৬৯০ জনের। জনসংখ্যা নিরিখে এই মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি গ্রীস, বুলগেরিয়া, ইতালি এবং স্পেনে । সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, তাপপ্রবাহ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি এই শতকের গোড়ার দিকে কম ছিল। তাপমাত্রা ২০০০-২০০৪ সালের সময়কালে ছিল ১৫ডিগ্রি সেলসিয়াস (৫৯ডিগ্রি ফারেনহাইট), ২০১৫-২০১৯সময়কালে ১৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৬৩.৮৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) থেকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র : dw